বিষন্নতা সনাক্তে আসছে স্মার্টফোন এ্যাপ

কর্তৃক মাহমুদুল হাসান
0 মন্তব্য 621 ভিউজ

বিশ্বজুড়েই বাড়ছে বিষন্নতার হার। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে মনের এই অসুখ ছড়িয়ে পড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। আর এর অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয় স্মার্টফোনকে। তরুণদের মধ্যে বাড়তে থাকা বিষন্নতার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে ধরা হয় স্মার্টফোনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার। এ বিষন্নতার কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার পরিমাণও। তবে গবেষকরা বলছেন, এই স্মার্টফোনেই মিলতে পারে এর সমাধান। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মোবাইল এ্যাপ লক্ষ্য রাখবে ব্যবহারকারীর আচরণগত বৈশিষ্ট্য। কী ধরনের ভিডিও দেখছে, কোন ধরনের ওয়েবসাইটে বেশি যাচ্ছে, কি ধরনের ম্যাসেজ লিখছে-সবই খেয়াল করবে এই এ্যাপ। গবেষকরা মতে, স্মার্টফোন নিতে পারে মনোরোগবিদের ভূমিকায়।

দীর্ঘ দিনের গবেষনায় দেখা গিয়েছে মাত্র ১৫ বছরের নিচে সবাই ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাপ, টুইটার ব্যবহার করে এবং তাদের সাথে তাদের বন্ধুদের এভাবেই যোগাযোগ হয়। এই বয়সের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি বিষন্নতায় ভুগছে। যা মোটেও ভালো বিষয় নয়। এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ‘প্রোএ্যাকটিভ ডিটেকশন’ চালু করেছে যার মাধ্যমে বেশ কিছু শব্দ বা শব্দাংশের মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রবণতাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়। স্মার্টফোন সাইকিয়াট্রি নিয়ে কাজ করছেন এমন গবেষকদের মতে, বিষন্নতা সনাক্ত করার ক্ষেত্রে ১ হাজারেরও বেশি সূচক বিবেচনায় নেয়া যায়।

যুক্তরাষ্ট্র স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ ইয়ান গটলিব সম্প্রতি বিষন্নতা সনাক্ত করতে একটা যথাযথ এলগরোদিম তৈরি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর ফলে খুব সহজেই প্রযুক্তি নির্ভর সমাধানকে কাজে লাগানো যাবে। তবে, অনেকের মতে, ২৪ ঘন্টার এই নজরদারি নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে অনেক ব্যবহারকারীর। নতুন এ্যাপ বিষয়ে অপর প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ডেভিড রায়ান পোলগার মতে, তরুণদের মনের উপর এই নজরদারি কতটা নৈতিক তা আগে থেকেই নিশ্চিত হতে হবে। ২৪ ঘন্টার এই নজরদারি তাদের পছন্দ নাও হতে পারে। তবে তার মতে নতুন সব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রশ্নটিই বার বার সামনে আসবে এটাই স্বাভাবিক। স্মার্টফোনের এই নতুন ব্যবহার নিয়ে বর্তমানে চলছে গবেষণা। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এই স্মার্টফোনই জানিয়ে দেবে আপনার কাছে মানুষ বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন