বিস্ময়কর কিছু তথ্য ফেসবুক সম্পর্কে, জানলে অবাক হবেন

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 424 ভিউজ

২০০৪ সালে মাত্র চারটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে ফেসবুক । কিন্তু এখন বর্তমানে দেশে প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে। যেটি ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। তবে ফেসবুকে কিছু মজার তথ্য এবং অজানা তথ্য আমাদের কারোরই জানা নেই । সুতরাং আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে ফেসবুক সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য শেয়ার করতে চলেছি যা শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে৷

১. ফেসবুকের নাম পরিবর্তন।
২০০৪ সালে ফেসবুকের নাম ছিল ফেসম্যাশ৷ পরবর্তীতে এটি পরিবর্তন করে ” দাফেইসবুক “রাখা হয়। তবে ২০০৫ সালে তা পুনরায় সংস্করণ করে রাখা হয় ফেসবুক৷

২. আজব ব্রাউজিং!
ফেসবুকের ইউআরএলটি টাইপ করতে করতে আপনি কি বিরক্ত হয়ে গেছেন? আপনার জন্য রয়েছে একটি সহজ সমাধান৷ বেশি কিছু না৷ আপনার ব্রাউজারের টাইপ করুন ক্যাপিটাল এফ এবং ক্যাপিটাল বি (FB) । তারপর কন্ট্রোল এবং এন্টার একসাথে চেপে ধরুন । দেখবেন সরাসরি আপনি ফেসবুকের হোমপেজে চলে গেছেন। ব্যাপারটা খুব মজার তাই না!

৩. ফেসবুকের নামে নাম
ফেসবুকে কেন্দ্র করে নাম রাখারাখিকে বিভিন্ন ধরনের গল্প প্রচলিত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ার এক দম্পতি তাদের সন্তানের নাম রাখে “লাইক”৷ কারন যখনই লাইকের মা লাইক পেটে থাকা অবস্থায় কোন পোস্টে লাইক বাটনে ক্লিক করতেন তখন লাইকও তার মায়ের পেটের মধ্যে লাথি দিত । ব্যাপারটা বেশ মজার না!

শুধু তাই নয়। মিশর সরকার তাদের দেশের সকল নাগরিকের ফেসবুক আইডির ওপর নজরদারি রাখত, যাতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন ধরনের সমালোচনা না করতে পারে৷ এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান এক মিশরীয় দম্পতি৷ তারা তাদের সন্তানের নাম রাখেন ফেইসবুক৷

৪.বন্ধুর একাউন্টে ঢুকতে একাউন্ট হ্যাক করতে না।
উপরের ফ্যাক্ট দেখেই আপনি অবাক হয়ে গেলেন? আপনার সামনে তো আরো মজার মজার সব তথ্য রয়েছে । আগে ফেসবুকে কোন ধরনের তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না । কেউ ইচ্ছা করলে অন্য প্রোফাইল ভিজিট করতে পারতো৷ অন্যের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করতে পারতো। অন্যের ইনবক্সে আসা মেসেজগুলো পড়তে পারতো৷ একবার ভেবে দেখুন কত অনিরাপত্তার মুখে ছিল ফেসবুক একাউন্ট গুলি। অথচ সেই ফেইসবুক এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য এখন কতৃপক্ষের তুমুল চেষ্টা৷

৫.প্রথম ফেসবুক একাউন্ট :
ফেসবুকে প্রথম যে একাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি একটি ফেইক একাউন্ট । এবং সেই একাউন্টে প্রথম ক্রিয়েট করেছিলেন মার্ক জুকারবার্গ। তবে পরবর্তীতে মার্ক জুকারবাগ তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য একটি আসল আইডি ক্রিয়েট করেন। তবে তাতে ভুলবশত মার্ক জুকারবার্ক নিজের নামের বানানটি ভুল লিখেছিলেন।

৬.ঘরে ঘরে ফেসবুক!
বর্তমানে ফেসবুক দেশ শক্তিশালী একটি গণমাধ্যম। ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন অন্যায় অথবা অনৈতিকতার তীব্র নিন্দা জানানো যায়৷ পৃথিবীর প্রতি ৭ জন মানুষের ভেতর একজন মানুষ প্রতিদিন ফেসবুকে একটিভ হয়৷ আমেরিকায় মোট জনসংখ্যার ৯৫% মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। বুঝতেই পারছেন একদম নবজাতক শিশু বাদে প্রায় সকলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷

৭.জুকার্বার্গকে ব্লক দিয়ে দেখেন, কি হয়!
ফেসবুকে যাকে তাকে ব্লক দেওয়া খুবই সহজ। কিন্তু আপনি চাইলেও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ কে ব্লক দিতে পারবেন না। চাইলে আপনি মার্ক জুকারবার্গকে ব্লক দিয়ে দেখতে পারেন।

৮.হ্যাকিং-প্যাকিং!
হ্যাকিং, তথ্য চুরি ইত্যাদি ফেসবুকে নতুন কোনো ব্যাপার নয় । প্রতিদিন প্রায় ছয় লক্ষ একাউন্ট হ্যাকিং এর চেষ্টা করা হয় এবং তার মধ্যে সফলভাবে প্রায় ২ লক্ষ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা সম্ভব হয় ।এর মধ্যে অধিকাংশই স্পামিং এর মাধ্যমে হ্যাক করা হয়৷ সুতরাং এখন থেকেই আপনার ফেসবুকের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করুন।

৯.ভুতুরে ফেসবুক!
ফেসবুককে একটি ভুতুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয় । কারণ এতে মোট 30 মিলিয়ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে যাদের মালিক মারা গেছে বেশ অনেকদিন আগেই।

১০.গালিগালাজ করে ২০ মিনিট হাজতে!
যদি ফেসবুকে আপনাকে অপরিচিত কেউ গালিগালাজ করে, তাহলে আপনি সহজেই আইনের সহায়তা নিতে পারেন । জেনে অবাক হবেন যে ফেসবুকে নিজের ফেক অ্যাকাউন্ট দিয়ে নিজের আসল একাউন্টে গালিগালাজ করার জন্য একজন নারী 20 মিনিটের জেলও খেটেছিলেন। ব্যব্যাপারটা আসলে হাস্যকর তাই না!

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন