বিশ্বের শীর্ষ ২০ বড় বড় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের শহর

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 329 ভিউজ

প্রতিবছরই বিশ্বসেরা প্রযুক্তি শহর নির্বাচন করা হয়। চলতি বছরেও সেটি করা হয়েছে। এবার নতুন করে কয়েকটি শহর এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এবারের আয়োজনে এমনই কিছু শহরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেসব শহর চলতি বছর বিশ্বসেরা প্রযুক্তি শহরের খেতাব পেয়েছে।

১. সিলিকন ভ্যালি, যুক্তরাষ্ট্র: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্থান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিস্কোতে অবস্থিত সিলিকন ভ্যালি। ৩০০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই জায়গা সানফ্রান্সিস্কো এবং স্যান হোসের সমুদ্র আর পাহাড়ে ঘেরা একটি স্থান। তবে এটি নিছকই একটি স্থান নয়, বরং পৃথিবীর তথ্য প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্লোবাল সেন্টার বলা চলে। এমনকি বর্তমানে সিলিকন ভ্যালিকে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জন্মস্থান হিসেবে পরিগণিত করা হয়। আধুনিক বিশ্বের প্রাণকেন্দ্রও বলা চলে একে। এখানে রয়েছে সহস্রাধিক স্মার্টআপ প্রতিষ্ঠান, রয়েছে ফেসবুক, এ্যাপল, গুগল, সিসকো সিস্টেমস, এ্যাডোবি, ইবে, ইন্টেল, এইচপিসহ নামকরা সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়। এগুলোর জন্মও ঘটেছে সিলিকন ভ্যালিতে। টেকনোলজিতে পেশাজীবীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই শহরটি। প্রতিনিয়ত নতুন আবিষ্কারে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে তাদের হাত ধরে। সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তিবিদরা ২৪ ঘণ্টা শুধু প্রযুক্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। ১৯৯৫ সালের পর সিলিকন ভ্যালি হয়ে ওঠে ইন্টারনেট অর্থনীতি এবং উচ্চ প্রযুক্তি সংক্রান্ত বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে।

২. টোকিও, জাপান: প্রযুক্তি বিশ্বে জাপানের রাজধানী টোকিওর অবস্থান অনেক এগিয়ে। শহরটিতে নতুন কেউ পা দিয়েই টের পাবেন ভিন্নতা। এখানকার দ্রুততম ট্রেন সিস্টেম থেকে শুরু করে স্মার্টফোনের প্রযুক্তি, রোবোটিক্স এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বাধুনিক প্রয়োগ আপনাকে হতবাক করবে। তাদের রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি জীবন বীমা কোম্পানিতে মানুষের বদলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্থান করে নিয়েছে। ২০২০ সালের অলিম্পিক খেলার আসরে নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করবে রোবোট। টেক গ্যাজেট, পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল ফোন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য ও দ্রুতগতির যানবাহন তৈরিতে এই শহরটির জুড়ি নেই। ভবিষ্যতের উন্নত প্রযুক্তি শহরকে নেতৃত্ব দেবে এই টোকিও। প্যানাসনিক, নিক্কন, সনিসহ বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এখানে।
সিঙ্গাপুর সিটি, সিঙ্গাপুর: এশিয়ার মধ্যে প্রযুক্তিতে শীর্ষ শহরের তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর সিটি। সমগ্র বিশ্বে তার অবস্থান তৃতীয়। মাত্র ৪০ বর্গকিলোমিটারের ছোট এই দেশের প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ। শহরের মেরিনা বে স্যান্ড এবং গার্ডেন বাই দ্য বে স্থাপনা দুটি তারই উদাহরণ। অধিকাংশ দোকান ও শপিং সেন্টার ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত। গবেষণা মতে, বেশিরভাগ প্রোগ্রামার এবং উদ্যোগী পুঁজিপতির বাড়ি রয়েছে এই শহরে। তবে এই শহরটি ক্রমাগত নতুন অবকাঠামো এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির শহর হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতের সবচেয়ে উচ্চ প্রযুক্তির শহর হতে চলেছে। এমআইটিএর সঙ্গে অংশীদারিত্বে দেশটিতে স্মার্ট ট্রান্সপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি গাড়িতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার পরিলক্ষিত হবে।

৩. সিলিকন ভ্যালি, চায়না: চায়নার সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিত সেনজেন হংকং লাগোয়া একটি শহর। এর আয়তন ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। সোয়া ১ কোটি জনসংখ্যার এই শহরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এতে রয়েছে বহু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়। বিশ্বের প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা আইটি পণ্য কিনতে এখানে ভিড় করেন। ঝকঝকে সুউচ্চ ভবনে সাজানো গোছানো শহরে চলে জমকালো আলোর খেলা। পরিকল্পিত এই শহরে রয়েছে সবুজের সমারোহ। শুধু এই শহর বলেই নয় প্রযুক্তি খাতে গোটা চীনের অগ্রগতি যে কোন দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বটে। গত বিশ বছর ধরে চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কারও তেমন মাথাব্যথা ছিল না। তারা অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি পণ্যগুলোর অনুলিপি করে অপেক্ষাকৃত সস্তায় বিভিন্ন দেশে রফতানি করছিল। এ জন্যই চীনের পণ্যগুলোকে একটু তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দেখছিল মানুষ। তবে তারা এখন মৌলিক গবেষণা এবং প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর একটি বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে হুয়াওয়ে। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা আলিবাবা যুক্তরাষ্ট্রের এলফাবেট, ওয়ালমার্ট, আমাজন, ই-প্লেসহ বিভিন্ন অনলাইন বাজারের তুলনায় অনেক এগিয়ে।

৪. নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র : ২ ধাপ পিছিয়ে বিশ্বের উদ্ভাবনী শহরের তালিকায় এ বছর নিউ ইয়র্কের অবস্থান ৪। ওয়েওয়ার্ক, ভ্যারাইজন, আইবিএম ওয়াটসন এবং সিটিগ্রুপের সদর দফতর এই শহরে।

৫. লস অ্যাঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া : বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী শহর ২০১৮-এর তালিকার পঞ্চম নামটি লস অ্যাঞ্জেলসের। র‌্যাংকিংয়ে এ বছর একধাপ উন্নতি হয়েছে শহরটির। স্ন্যাপ ইনক, স্পেসএক্স, রায়ট গেমস এবং হুলু’র সদর দফতর এখানে।

৬. সিঙ্গাপুর : তালিকার ষষ্ঠ স্থানে থাকা সিঙ্গাপুরের গত বছর অবস্থান ছিল ৭। ডিবিএস ব্যাংক, সিংটেল, ক্যাপিটাল্যান্ড লিমিটেডের কেন্দ্রস্থল হলো এই শহর। এশিয়ার মধ্যে প্রযুক্তিতে শীর্ষ শহরের তালিকায় একধাপ এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর সিটি। সমগ্র বিশ্বে তার অবস্থান তৃতীয়। মাত্র ৪০ বর্গ কিলোমিটারের ছোট এই দেশের প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ। শহরের মেরিনা বে স্যান্ড এবং গার্ডেন বাই দ্য বে স্থাপনা দুটি তারই উদাহরণ। অধিকাংশ দোকান ও শপিং সেন্টার ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত। গবেষণা মতে, বেশিরভাগ প্রোগ্রামার এবং উদ্যোগী পুঁজিপতির বাড়ি রয়েছে এই শহরে। তবে এই শহরটি ক্রমাগত নতুন অবকাঠামো এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির শহর হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতের সবচেয়ে উচ্চ প্রযুক্তির শহর হতে চলেছে। এমআইটিএর সঙ্গে অংশীদারিত্বে দেশটিতে স্মার্ট ট্রান্সপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি গাড়িতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার পরিলক্ষিত হবে।

৭. বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস : ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে ২ ধাপ পিছিয়েছে শহরটি। জেনারেল ইলেকট্রিক, হাবস্পট, বাইন ক্যাপিটাল এবং বোস্টন ডাইনামিক্সের সদর দফতর এই শহরে।

৮. টরন্টো, কানাডা : ২০১৭ সালেও এ তালিকায় শহরটি ছিল ৮-এ।  ওয়েলথসিম্পল, ইন্টারঅক্সন, ওয়াটপ্যাড, দ্য স্টারস গ্রুপের প্রধান অফিস এই শহরে। প্রযুক্তি ব্যবসায়ের ৪০ শতাংশ হয় কানাডার টরন্টো শহরে। আর তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, প্রযুক্তি চিন্তায় বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর এটি। দেশটির মধ্যে আবার বৃহত্তম শহর এটি তেমনি উত্তর আমেরিকারও চতুর্থ বৃহত্তম শহর টরন্টো। এ জন্য একে উত্তরের সিলিকন ভ্যালিও বলা হয়। টরন্টোকে মূলত আধুনিক উদ্ভাবনের অন্যতম প্ল্যাটফর্মও বলা চলে। বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানেরও আইকন এটি। এই শহরে ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, গুগল ছাড়াও বেশ কিছু নামিদামি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। বিশ্বমানের গবেষণা কেন্দ্র থাকায় এটি যে কারও জন্য প্রযুক্তি বিষয়ে বিশ্বস্ত গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এটি শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে তা কিন্তু নয় বরং স্বচালিত যানবাহন থেকে শুরু করে জীবন বাঁচানোর অত্যাধুনিক ডিভাইসের ব্যবহারে রেখেছে উল্লেখযোগ্য অবদান। আইফোন এমন একটি অ্যাপ তৈরি করেছে যা তাৎক্ষণিকভাবে হৃদরোগ এবং স্নায়ুতন্ত্র বিশ্লেষণ করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দিতে সক্ষম। এ ছাড়াও বছরজুড়ে কোম্পানিগুলো বিপুল পরিমাণ কর্মক্ষেত্র তৈরি করে থাকে।

৯. প্যারিস, ফ্রান্স : টরন্টোর মতোই এ বছর অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হয়নি প্যারিসের। প্যারিসে অরেঞ্জ কমিউনিকেশনস, ডিজার, থ্যালাস গ্রুপ এবং ডেইলিমোশনের মতো নামকরা সব প্রযুক্তি কোম্পানির সদর দফতর প্যারিসে।

১০. সিডনি, অস্ট্রেলিয়া : ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে বেশ উন্নতি হয়েছে সিডনির। ৪ ধাপ এগিয়ে এ বছর শহরটি ১০ম স্থানে অবস্থান করছে। ক্যানভা, আটলাসিয়ান, জিপ মানি, নুইক্স’র সদর দফতর এখানে।

১১. শিকাগো, ইলিনয় : র‌্যাংকিংয়ে ৯ ধাপ এগিয়েছে ইলিনয়ের এই শহরটি। গ্রাবহাব, বোয়িং, গ্রুপন এবং মটোরোলা মোবিলিটির সদর দফতর এখানে।

১২. সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া : এ বছর র‌্যাংকিংয়ে ১ ধাপ অবনতি হয়েছে সিউলের। স্যামসাং, হুন্দাই মোটর, এলজি ইলেকট্রনিক্স এবং এসকে হোল্ডিংস’র প্রধান কার্যালয় এই শহরে। বিশ্বের প্রযুক্তির রাজধানী হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী শহর সিউল। হাই টেক প্রযুক্তিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা শহর এটি। এটি এমন একটি শহর, যেখানে অধিকাংশ মানুষ কাজ করে হাই টেক কোম্পানিতে। শহরটির অলিগলি, পার্ক, রাস্তাসহ ১০ হাজার ৪৩০টি স্থানে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াইফাই ব্যবস্থা। দক্ষিণ কোরিয়ার মূল আয়ের অধিকাংশ আসে এই শহর থেকেই। সিউলে এলজি, স্যামসাং, হুন্দাই-কিয়াসহ ১০০-এর বেশি বিশ্বমানের কোম্পানির প্রধান কার্যালয় রয়েছে। এখানকার ৯০ ভাগ কোরিয়ান দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড লাইন ব্যবহার করে। যার গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০ মেগাবাইট। শহরের প্রতিটি জায়গায় নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ। এ ছাড়াও ২০২২ সালের মধ্যে সিউলকে প্রযুক্তিতে আরও অনেক বেশি এগিয়ে নিতে পরিকল্পনা রয়েছে শহরটির নগরপিতার। এতে তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান, বাড়ানো হবে প্রযুক্তির উন্নয়ন।

১৩. ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ, টেক্সাস : ৩ ধাপ উন্নতি হওয়া এই শহরে এটিঅ্যা-টি, আমেরিকান এয়ারলাইনস, টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টস, এনার্জি ট্রান্সফার ইক্যুইটির সদর দফতর।

১৪. বার্লিন, জার্মানি : ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে ৩ ধাপ উন্নতি হয়েছে শহরটির। সাউন্ড ক্লাউড, হ্যালোফ্রেশ, বাবেল এবং জাল্যান্ডো’র সদর দফর এখানে।

১৫. সিয়াটল, ওয়াশিংটন : ৬ ধাপ এগিয়ে এ বছর ১৫তম অবস্থানটি সিয়াটল’র দখলে। এই শহরে আমাজন, জিলো, কোয়ালটিক্স,রোভারের সদর দফতর অবস্থিত।

১৬. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া : এ বছর র‌্যাংকিংয়ে ৯ ধাপ উন্নতি করা মেলবোর্নে রয়েছে রেডবাবল, টেলস্ত্রা, ক্যাটাপুল স্পোর্টস এবং সিএসএল লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়।

১৭. হস্টন, টেক্সাস : র‌্যাংকিংয়ে ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে টেক্সাসের এই শহরটির। সিটগো, সিপিএনএল, ফ্লাইটওয়্যার ও সিসকোর সদর দফতর এখানে।

১৮. আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস : এ বছর র‌্যাংকিংয়ে ৫ ধাপ অবনতি হয়েছে শহরটির। এই শহরটিতে রয়েছে বুকিং.কম, ফিলিপস, টমটম, বিটিসির মতো কোম্পানির অফিস।

১৯. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া : আমস্টারডামের মতোই ভিয়েনাও ২০১৮ সালে র‌্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এ বছর ৯ ধাপ অবনতি হয়েছে শহরটির। ট্যুররাডার, কমপ্যানি, ট্রিকেন্টিস-এর অফিস এখানে।

২০. আটলান্টা, জর্জিয়া : অ্যাপোটোস, ইউপিএস, ব্লুফিন, ক্রিকেট ওয়্যারলেস’র মতো প্রযুক্তি কোম্পানি এ শহর থেকেই উঠে এসেছে।

এছাড়া রয়েছে তালিকার বাহিরে থাকা শীর্ষ প্রযুক্তির শহর সিলিকন ভ্যালি, চায়না: চায়নার সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিত সেনজেন হংকং লাগোয়া একটি শহর। এর আয়তন ২ হাজার বর্গকিলোমিটার। সোয়া ১ কোটি জনসংখ্যার এই শহরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে রয়েছে বহু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়। বিশ্বের প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা আইটি পণ্য কিনতে এখানে ভিড় করেন। ঝকঝকে সুউচ্চ ভবনে সাজানো গোছানো শহরে চলে জমকালো আলোর খেলা। পরিকল্পিত এই শহরে রয়েছে সবুজের সমারোহ। শুধু এই শহর বলেই নয় প্রযুক্তি খাতে গোটা চীনের অগ্রগতি যেকোনো দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বটে। গত বিশ বছর ধরে চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নিয়ে কারও তেমন মাথা ব্যথা ছিল না। তারা অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি পণ্যগুলোর অনুলিপি করে অপেক্ষাকৃত সস্তায় বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছিল। এ জন্যই চীনের পণ্যগুলোকে একটু তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দেখছিল মানুষ। তবে তারা এখন মৌলিক গবেষণা এবং প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর একটি বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে হুয়াওয়ে। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা আলিবাবা যুক্তরাষ্ট্রের এলফাবেট, ওয়ালমার্ট, আমাজন, ই-পে সহ বিভিন্ন অনলাইন বাজারের তুলনায় অনেক এগিয়ে। (সমাপ্ত) সূত্র : গেজেটস নাউ।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন