বুধবার (১৮ মার্চ) প্রথমবারের মতো নিজেদের সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের অভিযোগ এবং মতামত জানতে ফেসবুক লাইভে এসে এই তথ্য দেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি কোন কোম্পানির প্রধানের জন্যে গ্রাহকদেরকে এভাবে মুখোমুখি হওয়া বিরল ঘটনা।
এক ঘণ্টার সেশনে রফিকুল মতিন সব মিলে চারশতাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন বা গ্রাহক অভিযোগ শোনেন। লাইভে তিনি অনেক আগ্রহী গ্রাহককে দুই-এক দিনের মধ্যেই নতুন টেলিফোন সংযোগ এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মতিন বলেন, আগে গ্রাহক সরকারি কোম্পানিতে এসে ধরনা দিতেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন বিটিসিএল-ই বরং গ্রাহকের দরজায় যাবে।
ইউনিয়নে ওয়াইফাই হটস্পট বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের কাছে বিটিসিএল এ বিষয়ে একটি প্রকল্প জমা দিয়েছে, যেটি পাশের অপেক্ষায় আছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে বিটিসিএল-এর নিজস্ব ফাইবার অপটিক কেবলের সংযোগ আছে এমন ইউনিয়নের প্রতিটিতে আটটি স্থানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক করা হবে, যা প্রাথমিক অবস্থায় গ্রাহকদের জন্যে ফ্রি থাকবে বলে জানান মতিন।
এর আগে জানুয়ারি মাসে দেশের ২৩টি জেলার ১৪৬টি স্কুল কলেজে ফ্রি ওয়াইফাই চালু করে বিটিসিএল। ওই প্রকল্পে তাদের ৫৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই করার কথা রয়েছে। মতিন বলেন, এখন গ্রাম পর্যায়ে বিটিসিএলের সেবা নেই। তবে তারা ইউনিয়ন পর্যন্ত তাদের সেবা নিয়ে যেতে চান।
এক গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তরে মতিন বিটিসিএল-এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দেশ সেরা ব্রডব্যান্ড কোম্পানি হতে কাজ করছে বিটিসিএল।
গত নভেম্বরে বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন মতিন। দায়িত্ব নিয়েই টেলিসেবা নামে একটি অ্যাপ চালু করেছেন যেখানে গ্রাহক চাইলেই যে কোনো অভিযোগ দাখিল করতে পারেন এবং এটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে সংশ্লিষ্ট সবাই দেখতে পান।
অ্যাপ চালু হওয়ার কারণে সেবার মান আগের চেয়ে কিছুটা হলেও ভালো হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমেই নতুন সংযোগ নেওয়ার আবেদন করা এবং অনলাইনে বিল পরিশোধের সুবিধাও রাখা হচ্ছে। হলে গ্রাহক ঘরে বসেই বিটিসিএল-এর ল্যান্ডফোন ও ব্রডব্যান্ড সংযোগসহ অন্যান্য সকল সুবিধা পেতে পারবেন বলে জানান তিনি। সামনের দিনে ফেসবুক লাইভে এসে গ্রাহকদের অভিযোগ শোনা এবং তাদের সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন মতিন।