১৯৭১ সালে তিনটি বিমান ৯ জন পাইলট ও ৪৭ বিমানসেনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। সময়ের সাথে সাথে এখন আরও আধুনিক, কৌশলগত দিক দিয়ে সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।
‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ এমন মূলমন্ত্রে উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে এবার যোগ হয়েছে নাইট ভিশন গগলস প্রযুক্তি। যা নিশ্চিত করছে হেলিকপ্টারের রাত্রিকালীন উড্ডয়ন ও অবতরণ।
এই গগলস চোখে দিলে বৈমানিকরা অন্ধকারের মধ্যে নিচের সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাবেন। শুধু তাই নয়, রাতে দুর্গম অঞ্চলে অপারেশন চালাতে সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। যে কোনো দুর্যোগে উদ্ধার অপারেশনও সহজ হয়ে যাবে। গগলস-এর অন্তর্ভুক্তি হেলিকপ্টার চলাচলে নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে।
বেল-২১২ ও এমআই সিরিজ হেলিকপ্টারের নাইট ভিশন গগলসের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বৈমানিকরা কানাডা ও ইউক্রেনে প্রশিক্ষণ নেন। সদ্য কেনা সি-১৩০জে পরিবহন বিমানেও নাইট ভিশন গগলসের প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অতি অল্প সময়ে একই সক্ষমতা বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমান বহরেও সংযোজিত হবে।
নাইট ভিশন গগলস হচ্ছে একপ্রকার আলোক যন্ত্র যা সম্পূর্ণ অন্ধকারেও দৃশ্যমান ছবি তৈরি করতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রথম নাইট ভিশন ডিভাইস ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীকালে ভিয়েতনাম যুদ্ধসহ আরো অনেক যুদ্ধে এর ব্যবহার হয়। আবিষ্কারের সময় থেকেই এ ধরনের যন্ত্রের বিভিন্ন সংস্করণ বের হয়ে আসছে। সর্বশেষ এই প্রযুক্তির অংশ হিসেবে ১৯৬৫ সালে আসে নাইট ভিশন গগলস।