কল করা, মেসেজ পাঠানো, ছবি শেয়ার করার সময়ে রেডিও ওয়েভ এবং মাইক্রোওয়েভ নির্গত ও গ্রহণ করে মোবাইল। এই ওয়েভের রেঞ্জ প্রায় ৮০০ থেকে ২৬০০ মেগাহার্টজ (অবশ্য দেশ ও ফোনের নেটওয়র্কের উপরে নির্ভর করে এই মাত্রার ওঠানামা)। এই মাইক্রোওয়েভ থেকেই কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত।
আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি থেকে আমাদের শরীরে ক্ষতি বেশি হয়। ওয়েভ যত মাইক্রো বা সূক্ষ্ম হবে, তার প্রভাব পড়বে বেশি।
গত শতাব্দীর শেষ দিকে আমেরিকান বিজ্ঞানী অ্যালান ফ্রে লক্ষ করেন, দূর থেকে মাইক্রোওয়েভের সাহায্যে মানুষের মস্তিষ্কে আঘাত হানা যায়। মোবাইলে আমরা যা শুনি, তা শব্দ। সেটি মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে আমাদের কাছে পৌঁছায়।
পরীক্ষায় ফ্রে দেখলেন, ফোকাস করার ফলে মাইক্রোওয়েভ সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোব অংশে। মস্তিষ্ক তখন তা শনাক্ত করছে শব্দ হিসেবে।
মোবাইল অতিমাত্রায় ব্যবহারের ফলে যেসব সমস্যা হতে পারেঃ-
নার্ভের সমস্যা: সারাক্ষণ মোবাইল স্ক্রল করতে গিয়ে হাতের কয়েকটি বিশেষ আঙুলের উপরে চাপ পড়ে। আবার ফোন ধরার জন্য কনুই ভাঁজ করে রাখায় ‘সেল ফোন এলবো’র শিকারও হতে পারেন। এতে হাতের কনিষ্ঠা ও অনামিকা অসাড় হয়ে যায়। ফোরআর্মেও ব্যথা হতে পারে। রোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যাও বাড়তে থাকে।
চোখের সমস্যা:একটানা স্ক্রিন দেখার ফলে ড্রাই আইজের সমস্যা বাড়ছে। চোখে পাওয়ার বাড়ার সমস্যাও বিরল নয়।
অনিদ্রা: ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্ত পর্যন্ত চোখের সামনে ফোন ধরে থাকলে ঘুমের বারোটা বাজবে। এতে মস্তিষ্ক সজাগ হয়ে যায়। ফলে নিদ্রাহীনতার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
টানা ফোনের দিকে না তাকিয়ে চারপাশে তাকানোর অভ্যেস রাখুন।