২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ফাইভজি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে ৫জি নীতিমালা প্রণয়নের কাজে হাত দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত আগস্টে এজন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এই কমিটির ৩১ জানুয়ারির মধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়ার কথা থাকলেও ব্যান্ড ও স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণ ইস্যুতে এখনো তা প্রণয়ন করা হয়নি।
গত চার মাসেও খসড়াটি প্রণীত না হওয়ায় ৫জি চালুর পুরো প্রক্রিয়াটি দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশে ফাইভজি চালুর রূপরেখা, স্পেকট্রাম ব্যান্ড ও দাম, টাইম লাইনসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবসহ এই খসড়াটি প্রণয়ন করার কথা।
জানাগেছে, গতবছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ৫জি নীতিমালার খসড়া প্রণয়নে প্রথম বৈঠক করে বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার হাসান মোহাম্মদ আমিনুলের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এ পর্যন্ত মোট ৫টি বৈঠক করে। গঠন করে আরও আটটি উপ-কমিটি। উপ-কমিটিগুলোকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে মূল কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করার কথা ছিল। শেষ খবর পর্যন্ত তারা সেটি জমা না দেওয়ায় খসড়া চূড়ান্ত করা যায়নি।
অবশ্য এরইমধ্যে ফাইভ জি তরঙ্গ, ব্যান্ড, মূল্য ইত্যাদি বিষয়ে প্রযুক্তি সরবরাহকারী কোম্পানি হুয়াওয়ে ও এরিকসনের কাছ থেকে প্রেজেন্টেশন নিয়েছে কমিটি। কিমিটি ২.৬ গিগাহার্জ, ৩.৫ গিগাহার্জ ব্যান্ডে ফাইভ জি চালুর বিষয়ে আলোচনা করছেন। তবে আইটিইউ হতে ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্জ, ৩৩০০-৪২০০ মেগাহার্জ, ২৬-২৮ গিগাহার্জ, ৩২ গিগাহার্জ, ৩৮ গিগাহার্জ, ৪০ গিগাহার্জ এবং ৪৩ গিগাহার্জ ব্যান্ডসমূহে ফাইভজি প্রযুক্তির জন্য তরঙ্গ বরাদ্দ প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছে বিটিআরসি।