এআর অ্যাপে বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ার ওয়াইন ব্যবসা

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 944 ভিউজ

অনলাইনে পণ্যের কোনো অস্তিত্ব না থাকলে সে কোম্পানির টিকে থাকাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বার বা সুপার শপের পাশাপাশি অনলাইনেও শুরু হয়েছে ওয়াইন ব্যবসা। তবে কেবল অনলাইনে ওয়াইন বিক্রি করেই থেমে থাকেনি অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ওয়াইন নির্মাতা কোম্পানি ট্রেজারি ওয়াইন স্টেটস। মিলেনিয়াল প্রজন্মের (২২ থেকে ৩৭ বছর বয়সী) কাছে পৌঁছাতে অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করছে কোম্পানিটি। এতে তাদের ১৯ ক্রাইম ওয়াইন ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। ওয়াইনের বোতলের গায়ে থাকা লেবেলের ছবি স্ক্যান করলেই এআর অ্যাপের মাধ্যমে কিছু ইতিহাস জানা যাচ্ছে।

বোতলের গায়ে থাকা ছবি স্ক্যান করতে ফোনে শুধু ইন্সটল্ড থাকতে হয় লিভিং ওয়াইন লেবেলস নামের একটি অ্যাপ। এআর অ্যাপটি কাদের ইতিহাস বলছে, তা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে প্রায় ১৭১৭ সালে। অপরাধমুক্ত দেশ গড়তে সে বছরই ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাক্ট পাস হয় যুক্তরাজ্যে। আইনটির আওতায় অপরাধীদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো শুরু হয় ১৭৮৭ সালে। মোট ১৯ ধরনের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সাজা হিসেবে তাদেরকে নির্বাসনে পাঠানো হতো। নির্বাসনে যাওয়ার সময় সমুদ্র পথে অনেকেরই মৃত্যু হতো। যারা বেঁচে যেতেন, তারাই শুরু করতেন উপনিবেশের জীবন। এভাবে ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার নির্বাসিত নারী-পুরুষের হাত ধরে গড়ে ওঠে নতুন এক ঐতিহ্য। তাদের হার না মানা মনোভাবের প্রতি সম্মান জানিয়েই চার বছর আগে বাজারে আনা হয় ১৯ ক্রাইমস ওয়াইন। নির্বাসিতদের জীবন কেমন ছিল সে সম্পর্কে ধারণা দিতে তৈরি করা হয় লিভিং ওয়াইন লেবেলস এআর অ্যাপ। এআর এখন আর কোনো নতুন প্রযুক্তি নয়।

তবে ওয়াইনের গায়ে স্ক্যান করে যা দেখা যাচ্ছে তা দেখার কথা আগে কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। প্রযুক্তির এ অভিনব ব্যবহার দেখতে অনেকেই কিনছেন ১৯ ক্রাইমস ওয়াইন।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন