সোনার বিছানায় ঘুমাতে চান, তবে আপনার জন্য এই হোটেল

কর্তৃক প্রযুক্তি সারাদিন
0 মন্তব্য 413 ভিউজ

প্রাচীনকাল থেকেই সোনা আভিজাত্যের এক অন্যতম প্রতীক। তা সে অলঙ্কারই হোক বা সোনা দিয়ে তৈরি অনান্য নানান চমকপ্রদ জিনিসে। যে তালিকার নবতম সংযোজন সোনা দিয়ে তৈরি ‘বেডকভার’। চমকে উঠলেন নাকি। বিশ্বাস করুন আপনি ইচ্ছা করলেই (তবে পকেট পারমিট করলে) ঘুমাতে পারেন এই সোনার বিছানায়। যার ব্যবস্থা করেছে ইতালির মিলানের পাঁচতারা একটি হোটেল। বেডকভারটির দাম শুনলে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে। মনে হতে পারে দুঃস্বপ্ন দেখছেন। ইতালির ওই হোটেল সংস্থার দাবি বিশ্বের সবচেয়ে দামি বেডকভার এটি। দাম ছ’ অঙ্ক ছাড়িয়ে। বেডকভারটি ২৪ ক্যারেট সোনার দিয়ে বোনা হয়েছে। লিলেন কাপড়ে সোনার সাথে বোনা বেডকভারে ঘুমাতে হলে যে বিপুল গ্যাঁটের কড়ি খসবে তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?

তবে, সাম্প্রতিক সময়ের জন্য তবে হোটেল সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের অতিথিদের জন্য বিশেষ এক প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই অফার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিলেই এক রাতের জন্য পরশ মিলতে পারে অভিনব এই বেডকভারটির। তাই বা কম কিসের। উপমহাদেশে কিন্তু সোনার পরশ নেয়ার লোকের অভাব নেই এখনো। ভারতের ‘সোনার ছেলে’র খোঁজ আমরা পাওয়া গেছে।। যিনি ১ কোটি ২৭ লাখ রুপি দিয়ে বানানো সোনার তৈরি শার্ট পরেন। নাম? পুনার বর্ণাঢ্য এই ব্যবসায়ী দত্ত ফুগে। এত্ত দাম বলে যারা আঁতকে উঠছেন, তাদের স্বস্তির জন্য জানাই, বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এই জামাটি ৩.৫ কেজি ওজন বিশিষ্ট ২২ ক্যারেট বিশুদ্ধ সোনা দিয়ে তৈরি। তবে কেবল জামাতেই ক্ষান্ত নন এই ‘সোনার ছেলে’। জুতা এমনকি মোবাইল হ্যান্ড সেটটি পর্যন্ত তিনি মুড়ে রেখেছেন খাঁটি সোনা দিয়ে। এছাড়াও রয়েছে সোনার তৈরি কমোড। যার ‘দর্শন’ মেলে প্যারিসে। আর অ্যাপেল যে আইফোন ও আইপ্যাডও সোনায় মুড়ছে সে খবর তো এতদিনে আপনাদের অনেকের কাছেই রয়েছে।

হোটেলে গোপন ক্যামেরায় পর্নোগ্রাফি : শিকার ১৬ শ’
দক্ষিণ কোরিয়াতে হোটেল রুমে অতিথিদের ব্যক্তিগত মুহূর্ত গোপনে ধারণ করা, এরপর সেই ফুটেজগুলো মোটা অংকের বিনিময়ে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এর শিকার হয়েছেন হোটেলে থাকতে আসা অন্তত ১৬ শ’ অতিথি। গোপনে এসব ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।‌ এই ছোট আকারের বা মিনি ক্যামেরাগুলো হোটেল কক্ষের টেলিভিশন, চুল শুকানোর হেয়ার ড্রায়ারের হাতল এবং প্লাগের সকেটে অভিনব কায়দায় বসানো হতো যেন খালি চোখে বোঝা না যায়। অতিথিদের অজান্তে ধারণ করা এসব ভিডিও থেকে দুষ্কৃতিকারীরা ৬ হাজার ২ শ’ ডলারের মতো আয় করতো বলে জানা গেছে। গ্রেফতার ওই চার সন্দেহভাজন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে, তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর পর্যন্ত জেল, সঙ্গে হাজার হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় যৌনমিলন এবং নগ্ন দৃশ্য গোপনে ক্যামেরায় ধারণের ঘটনা মহামারি আকারে বেড়ে গেছে। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে সাধারণ মানুষ। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কোরীয় পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতিকারীরা গত বছরের অগাস্ট মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি শহরের অন্তত ৩০টি হোটেলে এই মিনি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করেছিল বলে তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে। ওই গোপন ক্যামেরাগুলো এক মিলিমিটার লেন্স ক্যামেরা হওয়ায় অতিথিদের কেউই টের পাননি যে তারা নিজেদের অজান্তেই শিকার হচ্ছেন পর্নোগ্রাফির। পুলিশ জানায়, গত নভেম্বরে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয় যেখানে সেই গোপনে ধারণকৃত ফুটেজগুলো ছাড়া হয়। ভিডিওগুলোর প্রথম ৩০ সেকেন্ড ফ্রিতে দেখার সুযোগ পান ইউজাররা। এরপরের পুরো দৃশ্য দেখতে তাদের অর্থ পরিশোধ করতে হতো। মূলত এভাবেই চলতো এই অবৈধ ব্যবসা। দুষ্কৃতিকারীরা এ পর্যন্ত ৮ শ’র বেশি ভিডিও ওই ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া বিদেশে ওয়েবসাইট সার্ভার পরিচালনার আইনও তারা লঙ্ঘন করেছে বলে জানা যায়। পুলিশ বলছে, এই মাসেই তারা ওই ওয়েবসাইটটি সরিয়ে ফেলে। তার আগ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিরা ৯৭ জন পেয়িং মেম্বারদের থেকে নিয়মিত আয় করত।

সউল মেট্রোপলিটন পুলিশ এজেন্সিটির এক মুখপাত্র কোরিয়া হেরাল্ডকে বলেন, “পুলিশ সংস্থা কঠোরভাবে সেইসঙ্গে কৌশলী হয়ে অপরাধীদের থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। মূলত, যারা অবৈধভাবে ভিডিওগুলি পোস্ট এবং শেয়ার করেছে। কারণ এ বিষয়টি গুরুতরভাবে মানুষের মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।” দক্ষিণ কোরিয়াতে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও প্রচার করা অবৈধ। তা সত্ত্বেও দেশটির দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার কারণে গোপনে চিত্রগ্রহণের হার ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হয়। অনেক ভিডিও পোশাক পরিবর্তন কক্ষে এমনকি টয়লেটেও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা প্রতিশোধের বশবর্তী হয়ে এসব ভিডিও ওয়েবসাইটে ছেড়ে দেয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১৭ সালে এইধরনের গোপন ভিডিও ধারণের ছয় হাজার অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়ে। ২০১২ সালে এইধরনের অভিযোগের সংখ্যা ছিল আড়াই হাজারের কাছাকাছি। ২০১৭ পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোপন ক্যামেরা সংশ্লিষ্ট অপরাধের জেরে সাড়ে পাঁচ হাজার সন্দেহভাজনকে আটক করে। তবে এর মধ্যে দুই শতাংশেরও কম মানুষের কারাদণ্ড নিশ্চিত করা গেছে। এভাবে একের পর এক গোপন ভিডিও ধারণ এবং তা ফাঁস হওয়ার ঘটনায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর রাজধানী সউল শহরে কয়েক দফা বিক্ষোভ হয় এবং আন্দোলনকারীরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবার কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান।
সূত্র : বিবিসি

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন