ভুয়া খবর ছড়ানো, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, তথ্য ফাঁস কেলেঙ্কারি ইত্যাদি নানা বিষয়ে সমালোচনার মুখে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ফেসবুকের অধীনে থাকা অ্যাপগুলোর মধ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। তবে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রথমবারের মতো ফেসবুককে ছাড়িয়ে গেছে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের ব্যবহার।
মোবাইল ব্যবহারকারীরা কোন অ্যাপ্লিকেশন কত সময় ধরে থাকছেন সে হিসাবের জন্য রয়েছে অ্যাপ্লিকেশন বিশ্লেষক অ্যাপ অ্যানি। অ্যানির তথ্য মতে, প্রতিটি ব্যবহারকারী মোবাইল ডিভাইসে যতটা সময় কাটান, এর অর্ধেকের বেশি সময় কাটান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপ্লিকেশনে। ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশনে সময় কাটানোর হার অনেক গুণ বেড়েছে।
অ্যাপ্লিকেশন বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অ্যাপ অ্যানির দ্য স্টেট অব দ্য মোবাইল ২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ২০১৮ সালে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। তথ্য অনুযায়ী, মাসিক ব্যবহারকারীর হিসাবে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অ্যাপ এটি। বিগত দুই বছর ধরে হোয়াটসঅ্যাপের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ শতাংশ। ফেসবুকের প্রবৃদ্ধি সেখানে ২০ শতাংশ আর মেসেঞ্জারে প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ। ফেসবুকের আরেকটি অ্যাপ ইনস্টাগ্রামের প্রবৃদ্ধিও দুই বছর ধরে ভালো ছিল। এটি ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
অ্যাপ অ্যানির প্রতিবেদনে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে ফেসবুক এখন আর সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ নয়। মাসিক ব্যবহারকারীর হিসাব ধরলে চ্যাট অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ফেসবুককে টপকে গেছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক এ অ্যাপটি তাদের অধিনে নেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুককে ছাড়িয়ে শীর্ষে চলে আসে হোয়াটসঅ্যাপ।
সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ ব্রাজিল, কানাডা, জার্মানি, ভারত, যুক্তরাজ্যের বাজারে রয়েছে শীর্ষস্থানে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের বাজারে শীর্ষে আছে স্ন্যাপচ্যাট। এছাড়া উইচ্যাট, লাইন, কাকাওটক অ্যাপ্লিকেশনগুলো চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারের শীর্ষে রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশন বিভাগে ব্যবহারকারীর যুক্ত থাকার বিষয়টি বিবেচনা ধরলেও তালিকার শীর্ষে থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ।