করোনা সংক্রমণ ও হংকংয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পর্কে ভুয়া তথ্য পরিবেশনের দায়ে চীন সরকারের সঙ্গে জড়িত ১ লাখ ৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিল টুইটার। সাম্প্রতিক প্রচারমূলক পোস্টগুলোতে চীনাভাষীদের নিশানা করা হয়েছে এবং বেজিংপন্থী তত্ত্ব প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
টুইটার-এর দাবি, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে একই কারণে একটি চক্রের অন্তর্গত বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ওই চক্রটির পিছনেও চীন সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল টুইটার। প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হয়েছিল অভিযুক্ত অ্যাকাউন্টগুলোর আইপি অ্যাড্রেস, যা চীন প্রশাসন আগেও ব্যবহার করেছিল। উল্লেখ্য, চীনে টুইটার নিষিদ্ধ।
টুইটার থেকে বাদ পড়া সাম্প্রতিক চীনা সংযোগকারী অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৫০। সেগুলোকে জোরদার করে তোলার জন্য নেপথ্যে ছিল আরও দেড় লাখ ‘অ্যাম্প্লিফায়ার অ্যাকাউন্ট,’ জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, গত কয়েক মাসে চীন অজস্র ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সাহায্যে একটি ‘স্প্যামোফ্লেজ’ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও জলঘোলা হয় নির্বাসিত চীনা শিল্পপতি গুয়ো ওয়েংগুই-কে আক্রমণের নিশানা করে তোলার পরে। এই ওয়েংগুই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে চিন সরকারের গাফিলতির বিরুদ্ধে গোড়া থেকেই সমালোচনা করে এসেছেন। স্বাভাবিক কারণেই সাইবার চক্রের সাহায্যে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিল বেজিং।