মনিটর হলো কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস যা ছাড়া আধুনিক কম্পিউটার প্রায় অসম্ভব। কারণ মনিটর হলো এমন একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে সিস্টেমে ঘটতে থাকা সব কাজের আউটপুট সরাসরি প্রদশিত হয় বা দেখতে পারা যায়। ছোট মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহারিত সুপার কম্পিউটাররে ও মনিটর ব্যবহার করা হয়।
মনিটর সাধারণত দুই ধরনের
১। সি আর টি / ক্যাথোড রে টিউব মনিটর ও ফ্লাট প্যানেল মনিটর
২। ক্যাথোড রে টিউব মনিটর
যে সকল মনিটরে পিকচার টিউব ব্যবহার করা হয় তাকে ক্যাথোড রে টিউব মনিটর বলা হয়। প্রথম দিকে এই মনিটরে শুধু মাত্র দুটি রং ব্যবহার কার হতো আর সেগুলো হলো সাধা ও কালো পরবতির্তে এই মনিটরে আরো তিনটি মৌলিক কালারের টিউব ব্যবহার করে রঙিন করা হয়। ক্যাথোড রে টিউব মনিটরের কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো:
১। পিকচার টিউব ব্যবহার করা হয়
২। ফসফরাসের প্রলেপ থাকে
৩। বিদ্যুৎ খরচ বেশি
৪। আকার আকৃতিতে বড়
৫। মৌলিক রঙ তিনটি লাল সবুজ নীল
৬। ইলেকট্রন গান ব্যবহার হয়
অতিতে ব্যবহৃত সাদা কালো / রঙ্গিন টিভি হল ক্যাথোড রে টিউব মনিটরের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ফ্লাট প্যানেল মনিটর
যে সকল মনিটরে কোন পিকচার টিউব থাকে না সে মনিটর হল ফ্লাট প্যানেল মনিটর। বর্তমানে এ ধরণের মনিটরের মধ্যে বেশি ব্যবহার হয় (লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে) মনিটর।
ফ্লাট প্যানেল মনিটরের কিছু বৈশিষ্ট নিচে দেওয়া হলো:
১। বিদ্যুৎ খরচ কম হয়
২। পিকচার টিউব ব্যবহার হয় না
৩। ক্রিস্টাল আলো বিকিরণ করে
৪। তথ্য প্রদর্শনের মান ভাল
৫। ওজনে হালকা পাতলা
৬। আকার আকৃতিতে ক্ষুদ্র
বর্তমানে বাজারে ক্যাথোডরে টিউব মনিটর প্রায় নাই বলেলেই চলে। এখন সবাই ফ্লাট প্যানেল মনিটর ব্যবহার করে। কারণ একটি ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন ফ্লাট প্যানেল মনিটর আপনার কম্পিউটার চালোনাকে আরো অনেক বেশি সহজ ও আরাম দায়ক করে তুলবে। মনিটরের দাম সাধারণত এর ধরন ও বৈশিষ্টের উপর নির্ভর করে। মনিটরের দামের লিস্ট দেখতে পারেন এখান থেকে।