ইন্টারনেটে সংগঠিত অপরাধ সমূহকে বলা হয় সাইবার ক্রাইম

কর্তৃক মাহমুদুল হাসান
0 মন্তব্য 1041 ভিউজ

দেশে প্রায় ১০কোটি মানুষের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নারীরাও অনলাইন দুনিয়ায় প্রবেশ করেছেন। আমাদের দেশের নারীরা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহার করে তথ্য আদান প্রদান এর পাশাপাশি, কেনা-কাটা থেকে শুরু করে নানা ধরনের পরামর্শ এবং আলোচনার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। ইন্টারনেটের সুফল ভোগ করার পাশাপাশি অনেক ধরনের কুফলও ভোগ করতে হচ্ছে।

ইন্টারনেটে সংগঠিত অপরাধ সমূহকে বলা হয় সাইবার ক্রাইম। সাইবার বুলিং, অনলাইন হ্যারাসমেন্ট হয়ে গিয়েছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। আর এই ধরনের সাইবার ক্রাইমের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে নারীরা। এবং সম্মুখীন হতে হয় নানান ধরণের সমস্যার। এসকল সমস্যার কোন সমাধান খুঁজে না পেয়ে অনেকে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নেন।

নারীদের সাথে ঘটে যাওয়া সাইবার ক্রাইমের ধরন-

১। ভাইরাস অ্যাটাক, হ্যাকিং, পরিচয় চুরি ও ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার।

২। ফেক আইডি, ফেক ই-মেইল ব্যবহার করে সুনামহানি ও অপপ্রচার সাইবার বুলিং।

৩। অন্যায় হুমকি, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ও অনলাইন অ্যাবিউজ।

৪। একান্ত ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর ছবি ছড়িয়ে দেওয়া।

৫। অনলাইন ব্ল্যাকমেইল ও অনৈতিক রূপে অর্থ আদায়, মানসিকভাবে টর্চার ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা।

অনলাইন নিরাপত্তার জন্য নিম্নলিখিত সাবধানতা গুলো অবলম্বন করলে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কের তথ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে-

১। যে কোন সোশ্যাল মিডিয়ার ইনবক্সে ব্যক্তিগত সংবেদনশীল ছবি এবং তথ্য আদান প্রদানে বিরত থাকুন।

২। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং যে কোন ধরনের পরিচয় পত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকুন।

৩। যে কোন পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং আপনার ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড আদান প্রদানে বিরত থাকুন।

৪। অনলাইন কেনাকাটায় পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য বাক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকুন।

৫। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ যেকোন ওয়েবসাইটে সন্দেহজনক, সংবেদনশীল, সংবাদ সম্বলিত লিংকগুলোতে ক্লিক করা এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার ডাউনলোড করার আগে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

৬। যে কোন অনলাইন অ্যাকাউন্টে তথ্য আদান-প্রদান করে লগ আউট করতে ভুলবেন না।

৭। একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য ব্যবহার করবেন না।

৮। অনলাইনে রাষ্ট্রবিরোধী, জঙ্গিবাদ, উস্কানিমূলক এবং অন্যান্য বেআইনি তথ্য বা সংবাদ আদান প্রদানে বিরত থাকুন।

৯। পর্নগ্রাফিক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি, ছবি বিকৃতি ও ব্যাঙ্গাত্বক বার্তা অনালাইনে ছড়ানো এবং এগুলো দ্বারা কাউকে অহেতুক হেনস্তা করা থেকে বিরত থাকুন।

১০। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আপনার মৌলিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও অনলাইনে মিথ্যা বিকৃত, অসন্মানজনক কথা-বার্তা, গুজব এবং হয়রানিমূলক মন্তব্য আদান প্রদানে বিরত থাকুন।

বিদ্রঃ যে কোন ধরনের হয়রানি ও অপরাধের শিকার হলে সবার আগে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনার। আবেগের বশবর্তী হয়ে যে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের ক্ষতি করবেন না।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন