বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহী অ্যামাজন

কর্তৃক নাহিদ পারভীন
0 মন্তব্য 969 ভিউজ

মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছিলো। সম্প্রতি বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে থেকে জানা যায় অ্যামাজন বাংলাদেশে আশার ব্যাপারে অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। খুব দ্রুতই এই বিষয়ে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে সব কিছুই নিয়ে আলোচনা করা হবে, কবে তারা আসবে এবং কিভাবে তারা ব্যবসা পরিচালনা করবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য অ্যামাজন প্রতিষ্ঠান থেকে এখনো আসেনি। উল্লেখ্য অনেক আগেই অ্যামাজন পার্শবর্তি দেশ ভারতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুব দ্রুতই অনলাইনভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যামাজন বাংলাদেশ’ নামে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। এ বিষয়ে খুব দ্রুতই বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে তারা বৈঠক করবেন। এর আগে ২০১৮ সালের শুরুতে অ্যামাজনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছেন। প্রাথমিক ভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে কার্যক্রম শুরুর কথা জানা গিয়েছিলো। অবশ্য এ বিষয়ে আমাজনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।এর আগে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ার ই-কমার্স কোম্পানি দারাজ গ্রুপকে কিনে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে চীনা ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা।

মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ই-কমার্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডিজিটাল স্ট্রিমিং ও আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। বিশ্বের বৃহত্তম চার কোম্পানি হিসেবে গুগল, অ্যাপল, ফেসবুকের সঙ্গেই আমাজনের নাম আসে। জেফারি বেজোসের হাত ধরে ১৯৯৪ সালের ৫ জুলাই ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহরে শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং সেন্টার অ্যামাজনের পথচলা। শুরুতে অ্যামাজন ছিল ছোট একটা অনলাইন বইয়ের দোকান যার অফিস ছিল একটা ছোট গ্যারেজে, এরপর পরবর্তী তেইশ বছর ধরে অ্যামাজনের মাধ্যমে কেনা বেচা হচ্ছে A থেকে Z পর্যন্ত প্রায় সবকিছু। তাদের লোগোতে A to Z তীরচিহ্ন বুঝিয়ে দেয় যে, অনলাইন ক্রেতাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে এই অ্যাামাজনই।

0 মন্তব্য
0

তুমিও পছন্দ করতে পার

মতামত দিন